বাংলায় আর্টিকেল লেখার নিয়মসমূহ
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন তথ্য জানার জন্য বিভিন্ন উপায়ে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার
করে। এসকল তথ্য পাওয়া যায় বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। আর ওয়েবসাইট চলে বিভিন্ন লেখার
ভিত্তিতে। আর এই লেখালেখির মাধ্যমকে বলা হয় আর্টিকেল রাইটিং। বাংলাদেশের মানুষের
ভাষা বাংলা।
তাই বাংলায় আর্টিকেলের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। এছাড়াও বাংলায় আর্টিকেল
লিখেই আপনি মাসে ভালো একটি ইনকাম করতে পারবেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক নিয়মগুলো
বিস্তারিতভাবে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
বিষয়বস্তু নির্বাচন
আর্টিকেল লিখতে হলে কোন বিষয়ে আমি লিখতে চাই এটি নির্ধারন করতে হবে। বিষয়বস্তু
নির্বাচন আর্টিকেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশেষ করে বিভিন্ন
তথ্য ভিত্তিক এবং টেকনোলজি বিষয়ক বিষয় নির্বাচন করা উত্তম।
কেননা, আমরা গুগলের বিভিন্ন তথ্যকে বিশ্লেষন করে দেখতে পাই যে, উল্লিখিত দুইটি
বিষয়ের উপর মানুষের আগগ্রহ বেশি। আর আর্টিকেল লিখতে হলে মানুষ কিসে আগ্রহী এটা
জানা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মানুষ যা কখনো সার্চ ই করেনা তা নিয়ে কোনো আর্টিকেল
লিখেও লাভ নেই। তাই বিষয় নির্বাচন করতে হবে জেনেবুঝে।
বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে কিওয়ার্ড রিসার্চর করা
আর্টিকেল রাইটিং এর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো কিওয়ার্ড রিসার্চ করা। আর এর
জন্য আমরা গুগলের সাহায্য নিতে পারি। একটি সঠিক কিওয়ার্ড আপনার আর্টিকেলকে অনন্য
পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই সঠিকভাবে কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে।
এসইও ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড তৈরি করা
এসইও ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড তৈরি করে নিতে হবে কেননা এটি ওয়েবসাইটের র্যাংকিং এর
জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসইও ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড হলো টার্গেট কিওয়ার্ড যা দিয়ে
মানুষ সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইটটি সহজেই খুঁজে পাবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে
মাথায় রাখতে হবে আপনার অবস্থান কোথায় এবং আপনি কাদের সাথে আপনার ওয়েবসাইটটির
তুলনা করছেন।
একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক, যেমন ধরুন আপনি যে কিওয়ার্ডটি তৈরি করেছেন সেটাতে
অলরেডি অনক কাজ হয়ে গেছে এবং অনেক বেশি নিউজ পোর্টালও রয়েছে এক্ষেত্রে আপনার
লেখিাটি খুঁজে পাওয়া বা র্যাংক করানো কঠিন হবে। তাই একটি সঠিক মাপের এসইও
ফ্রেন্ডলি কিওয়ার্ড তৈরি করতে উল্লিখিত বিষয়সমূহ খেয়াল রাখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হাতের লেখা সুন্দর করার ১০ টি উপায়
ফিচার ইমেজ যুক্ত করা
প্রতিটি আর্টিকেলে ফিচার ইমেজ যুক্ত করতে হবে। আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখছেন সে
বিষয়েে একটি ইমেজ যুক্ত করলে সেটি দেখতেও যেমন সুন্দর হবে তেমনি পাঠকও সহজেই ধরতে
পারবে আপনি কি বিষয়ে লিখেছেন। তাই প্রতিটি পোস্টে ফিচার ইমেজ যুক্ত করা
গুরুত্বপূর্ণ।
পোস্ট সূচিপত্র তৈরি করা
আপনি যে পোস্টটি লিখেছেন সে সম্পর্কে একটি পোস্ট সূচিপত্র তৈরি করতে হবে। তাহলে
পাঠক সহজেই সূচিপত্র অনুযায়ী তার পছন্দের পয়েন্টটি পড়তে পারবে। তবে সূচিপত্রের
প্রতিটি পয়েন্ট একটু সংক্ষেপে লিখতে হবে যাতে তা দেখতে সুন্দর হয়।
আরো পড়ুন সেকশন যুক্ত করা
একটি পোস্টের মাধ্যমে পাঠককে আকৃষ্ট করার জন্য আরো পড়ুন অংশটি যুক্ত করতে হবে।
আপনি যে বিষয় নিয়ে লিখেছেন সে বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা
পোস্ট লিংক আপ করে আরো পড়ুন নামে একটি আলাদা বাটন যোগ করুন। এটি আপনার
আর্টিকেলটিকে আরো সমৃদ্ধ করবে।
লেখা জাস্টিফাই করা
আপনার লেখাটি যেমন আছে তেমন করেই ছেড়ে দিলে তা ভালো দেখায় না। তাই লেখা শেষে
অবশ্যই লাইনসমূহকে অ্যালাইনমেন্ট করে জাস্টিফাই করে নিতে হবে। তাহলে লেখা এলোমেলো
না দেখিয়ে সুন্দর দেখাবে।
ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ করে লেখা
কোন পয়েন্টে অনেক বেশি তথ্যের ব্যাখা দেওয়ার প্রয়োজন হলে তা একটি প্যারায় না লিখে
ছোট ছোট প্যারা করে বা সাব-হেডিং এর মাধ্যমে তা লিখতে হবে। তাহলে পাঠকের পড়তে
সুবিধা হবে। প্রতিটি প্যারাগ্রাফ এ ৫ লাইন এবং সাবহেডিং এ ৩ লাইনের বেশি রাখা
উচিত নয়।
বানান শুদ্ধ করে লেখা
আর্টিকেল বাংলা হোক বা ইংরেজি বানান শুদ্ধ করে লেখা জরুরি। অশুদ্ধ বানানের ফলে
আপনার কন্টেন্টটি অনেক সময় পাঠকের অসন্তুষ্টির কারণ হতে পারে। তাই বানান শুদ্ধ
করে লেখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা
কোনো বিষয়ে লিখতে গেলে সে বিষয়ে সঠিক জ্ঞান লাভ করে নির্ভূল এবং প্রয়োজনীয় তথ্য
উপস্থাপন করতে হবে। ভুল তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখলে তা আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষতির
কারণ হতে পারে।
লেখকের মন্তব্য
উপরিউক্ত বিষয়গুলো আর্টিকেল লেখার জন্য খুব সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম। এসকল
বিষয়সমূহ মাথায় রেখে আর্টিকেল লিখলে তা আপনার কন্টেন্টকে অন্যের চেয়ে েএগিয়ে
রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও সব নিয়ম-কানুন মেনে আর্টিকেল লিখলে তা আপনার
ওয়েবসাইটকে র্যাংক করতে সাহায্য করবে এবং আপনাকে একটি ভালো ইনকাম পেতে সাহায্য
করবে।
দ্য অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url