গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

গাজর খাওয়ার উপকারিতার কথা সর্বত্র প্রচলিত। প্রতিনিয়তই আমরা এর উপকারিতার কথা শুনতে পাই। গাজর শীতকালীন সবজি হলেও এখন প্রায় সব সময়ই গাজর পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্রয়োজনে কিংবা স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য আমরা গাজর খেয়ে থাকি।

 চলুন গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

গাজরের পুষ্টিগুণ ও এর উপকারিতা

গাজরে বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, ফলেট, পটাশিয়াম, প্যানটোথেনিক এসিড, আয়রন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম।

এছাড়াও কাচাঁ গাজরে শতকরা ৮৮% পানি থাকে যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি। আমাদের শরীরকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে রয়েছে শর্করা প্রায় ৯%, আমিষ ০.৯%, খাদ্য আঁশ রয়েছে ২.৮%, ছাই রয়েছে ১% এবং ০.২% স্নেহ পদার্থ রয়েছে।

এসকল উপাদান আমাদের শরীরের জন্য অনেক বেশি উপকারি। আমাদের লিভার, ত্বক, চুল, দাঁত, মুখ, হৃৎপিন্ড ইত্যাদি প্রায় সকল অংশের জন্য গাজরের অনেক উপকারিতা রয়েছে। চলুন আমরা আগে গাজরের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই-

ভিটামিনের যোগান দেয় গাজর 

গাজরে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন যা আমদের প্রতিটি কোষের সঠিক বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। গাজরের মধ্যে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে ইত্যাদি রয়েছে। আমাদের শরীরর যেগুলোর গুরুত্ব অপরিসীম। 

আমাদের বাড়ির লোকেরা বলতো, ভিটামিন দরকার গাজর খাও। তারা কিন্তু ভুল বলতেন না। আসলেই গাজর আমাদের শরীরের জন্য বিভিন্ন উপকারি ভিটামিনের যোগান দেয়।

গাজর দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে   

গাজর বিভিন্ন উপায়ে খাওয়া যায় তার মধ্যে একটি হলো- গাজরের জুস বানিয়ে খাওয়া। গাজরের জুসে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন-এ যা আপনার দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করবে। আমরা জানি, চোখের জন্য উপকারি উপাদান হলো, ভিটামিন-এ । আর এটি আমরা পাচ্ছি গাজর থেকে। 

তাই যারা অনেক বেশি পড়াশোনা করেন এবং দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করেন তারা নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। গাজরে জুসে আরো রয়েছে লিউটিন ও জিয়াজ্যান্থিন যা ক্ষতিকর আলোক রশ্মির প্রভাব থেকে আপনার চোখকে রক্ষা করবে। 

গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চোখের লেন্সকে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। গাজর আপনার চোখের ছানি পড়ার সমস্যা, নাইট ভিশন বাড়ানোর কাজেও সাহায্য করে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন অতি উপকারি এই উপাদানটি।

গাজর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে 

গাজর খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায়। এটি ফুসফুস ক্যান্সার, কলোরেক্টাল ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সার ঝুঁকি কম করে। হজমের পর আমাদের শরীরে কিছু অতিরিক্ত উপাদান থাকে যাকে ফ্রি র‌্যাডিকেলস বলে বা মৌল বলে যা শরীরের কিছু কোষকে নষ্ট করে দেয়। 

গাজর সেই সকল মৌল উপাদানের বিরুদ্ধে লড়াই করে ফলে ক্যান্সারের কোষ উৎপাদন কম হয়। এছাড়াও ফ্যালকারিনোল এবং ফ্যালকারিনডিওল আছে গাজরে যা এন্টিক্যান্সার উপাদানগুলিকে রিফিল করে। এভাবে গাজর ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। 

ত্বকের উজ্জ্বলতায় গাজর

গাজর আমদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। গাজরে রয়েছে ভিটামিন-সি আর আমরা জানি ভিটামিন-সি আমাদের ত্বকের জন্য খুব উপকারি। এছাড়াও গাজরে রয়েছে বিটা-ক্যরোটিন যা ত্বকের বয়সকে বাড়তে দেয় না। অর্থাৎ এন্টি-এইজিং হিসেবে কাজ করে।

আবার এই বিটা-ক্যারোটিন ভিটামিন-এ তে রুপান্তরিত হয় যা আপনাকে পরিষ্কার ত্বক পেতে সাহায্য করবে। ভিটামিন এ ত্বকের প্রায় সকল রোগ নিরাময় করতে সাহায্য করে। গাজরের সাথে মধু এবং লেবু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বক হবে দাগহীন এবং উজ্জ্বল।  

দাঁত ও মুখের সুরক্ষায় গাজর

গাজর খাওয়ার উপকারিতা অনেক রয়েছে তার মধ্যে একটি হলো দাঁত ও মুখের সুরক্ষা। গাজর আমাদের ত্বকের পাশাপাশি দাঁতের যত্নেও বিশেষ ভূমিকা রাখে। এটি দাঁতকে সুস্থ্য এবং মজবুত রাখতে সাহায্য করে।

গাজর গহ্বর লড়াইকারী সবজি হিসেবে পরিচিত। কাঁচা গাজর চিবানো প্রাকৃতিক টুথব্রাশ হিসেবে কাজ করে। এতে প্লাক-ফাইটিং কেরাটিন এবং ভিটামিন-এ থাকে যা দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী এবং মজবুত করতে সাহায্য করে। 

এছাড়াও গাজরে রয়েছে ভিপামিন-বি যা মুখের ঘা এর বিরুদ্ধে কাজ করে। ভিটামিন-সি ও দাঁতের জন্য অনেক ‍উপকারি একটি উপাদান যা মুখের ঘা হওয়া থেকে রক্ষা করে। তাই নিয়মিত গাজর খান পরিমানমতোে এবং পেয়ে যান সুস্থ্য সবল মজবুত দাঁত।

গাজর হাড় সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে   

হাড়ের স্বাস্থ্য ব্যক্তির বিভিন্ন কর্মকান্ডের উপর নির্ভর করলেও মানুষের খাদ্যাভ্যাসের কারণেও এর বিভিন্ন পরিবর্তন সাধিত হয়। জাপানে প্রচলিত এক গবেষনায় দেখা গেছে, জাপানের মহিলারা তাদের খাদ্য তালিকায় হলুদ এবং সবুজ সবজি (গাজর ও পালং শাক) যুক্ত করেছেন।

তাদের এই গবেষণা থেকে পাওয়া যায়, সেই মহিলাদের মধ্যে অন্যান্যদের তুলনায় ক্যালসিয়াম ও খনিজের পরিমাণ বেশি অর্থাৎ খনিজ হাড়ের ঘনত্ব বেশি। এই ভিত্তিতে আমরা বলতে পারি, গাজর হাড়কে মজবুত এবং সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। 

ওজন কমাতে গাজর খাওয়ার উপকারিতা

ওজন কমাতে চাইলে ডাক্তারদের পরামর্শ থাকে, শাক-সবজি খেতে হবে। এই শাক-সবজির মধ্যে অন্যতম হলো গাজর। গাজরের মধ্যে থাকা ফাইবার ক্ষুধা কমাতে সাহায্য করে ফলে বার বার খেতে হয়না এবং দ্রুত ওজন কমে। তাই ওজন কমাতেও গাজরের উপকারিতা অনেক। 

এছাড়াও গাজরে ক্যালোরি কম থাকে ফলে এটি শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা নিবারণ করে। তাই আপনি যদি ওজন কমাতে চান তাহলে আপনার ডায়েট চার্টে গাজর রাখতে পারেন। এটি আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

 চুলের জন্য উপকারি গাজর

গাজরে চুলের জন্য উপকারি খনিজ উপাদান থাকে যা চুলকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। গাজরে রয়েছে প্রোটিন, আয়রন এবং ভিটামিন-সি। এর প্রত্যেকটি উপাদান চুলের জন্য অনেক উপকারি। এসব উপাদান চুল ঝলমলে এবং মজবুত রাখতে সাহায্য করে। 

চুলের বৃদ্ধিতেও গাজর বিশেষ ভূমিকা রাখে। কাঁচা গাজর, বা তরকারিতে বা গাজরের রস প্রতিদিন এক কাপ করে খেলেও এটি আপনার শরীরের অনেক উপকারে আসবে। তাই চুল বাড়নোর জন্য হলেও প্রতিদিন সালাদ হিসেবে গাজর খেতে পারেন। 

হৃদযন্ত্রের জন্য গাজর খাওয়ার উপকারিতা 

গাজর হার্টের রোগীদের জন্যও উপকারি হতে পারে। এটি রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। হৃদযন্ত্রকে ভালো রাখতে তাই গাজর খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। 

গাজরের পটাশিয়াম উপাদান হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে। গাজরে প্রায় ৮৮% পানি থাকে এর ফলে এটি হৃদযন্ত্রের প্রদাহ কমিয়ে হার্টকে সুস্থ্য রাখতে সাহায্য করে। তাই নিজের স্বাস্থ্যের ঝুঁকি কমাতে আপনিও নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। 

বয়সের ছাপ দূর করে গাজর

গাজর খাওয়ার উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। গাজরে রয়েছে উচ্চমানের বিটা ক্যারোটিন যা শরীরের কোষকে ক্ষয় হওয়া থেকে রোধ করে ও সজীব কোষ উৎপাদনে সাহায্য করে। এর ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ পরে না এবং ত্বক থাকে প্রাণবন্ত ও সজীব। 

গাজর স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে   

গাজর খাওয়ার অনেক উপকারিতার মধ্যে অন্যতম হলো এটি স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। যুক্তরাষ্ট্রের হার্বার্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে যারা ৬ টির বেশি গাজর খান এবং যারা মাসে ১/২ টি গাজর খান তাদের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। 

যারা সপ্তাহে অন্তত ছয়টি গাজর খান তাদের স্বাস্থ্যের অবস্থা অনেক ভালোে এবং তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি কম। এই গবেষণা থেকেও বোঝা যায়, গাজর খাওয়ার উপকারিতা কতটা। তাই শরীরকে সুস্থ্য রাখতে বা স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত গাজর খেতে পারেন। 

অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে গাজরের উপকারিতা

গাজর খাওয়ার আর একটি উপকারিতা হলো এটি আপনার শরীরে অ্যান্টিসেপ্টিক হিসেবে কাজ করবে। আমরা জানি, শরীরে কোন ক্ষত হলে সেটা ভিটামিন-কে পূর্ণ করে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে যা আপনার ক্ষতস্থানকে পূরণ করতে সাহায্য করবে। 

তাই নিয়মিত গাজর খাওয়ার ফলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। তাই আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারেন গাজর।

 আমরা ভালো থাকার জন্য দৈনন্দিন জীবনে কত কিছুই করে থাকি। আর একটি সবজি খেলে আমাদের শরীর যদি ভালো থাকে তাহেলে তাতে ক্ষতি কি। তাই আসুন আমরা প্রতিদিন অন্তত একটি করে গাজর খাই এবং সুস্থ্য থাকি।  

গাজর কিভাবে খাবেন

গাজর আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। এর জন্য আপনার কোন ধরা-বাধা নিয়ম নেই। তবুও আমরা গাজর কিভাবে খাবেন তার একটি ধারণা আপনাদেরকে দিচ্ছি।

কাঁচা গাজর খাওয়াঃ

আপনি গাজর কাঁচা অবস্থায় খেতে পারেন। এতে পানির পরিমান বেশি থাকে ফলে আপনার শরীর ভালো রাখতে সাহায্য করবে। কাঁচা গাজর ধুয়ে নিয়ে তা চিবিয়ে চিবিয়ে খাবেন। এতে আপনার দাঁত এবং আপনার স্বাস্থ্য দুটিই ভালো থাকবে। আপনি কাঁচা গাজর সালাদ হিসেবেও খেতে পারেন।

রান্না করা গাজর খাওয়াঃ

গাজর রান্না করে খাওয়া যায়। গাজর বেশিরভাগ আমরা রান্না করেই খাই। আমরা সাধারণত গাজর খাই-

  • তরকারি হিসেবে। অন্যান্য সবজির সাথে মিশিয়ে রান্না করে খাই। 
  • গাজরের হালুয়া হিসেবে। আমরা গাজর খাই মূলত বিভিন্ন মিষ্টি জাতীয় খাবার হিসেবে। 
  • গাজরের মিষ্টি বানিয়েও খাওয়া যায়। ইত্যাদি। 

রান্না করে গাজর মূলত আমরা এসকল উপায়েই খেয়ে থাকি। তাই আপনিও পছন্দ অনুযায়ী আপনার প্রিয় গাজরের রেসিপি খুঁজে নিতে পারেন। 

গাজরের জুস খাওয়াঃ 

গাজরের জুস খাওয়া এখন একটি জনপ্রিয় বিষয়ই বলা চলে। প্রায় সকল ডায়েট চার্টে এটি খেতে বলা হয়। তাহলে বলতে পারি, আপনি গাজর জুস বানিয়েও খেতে পারেন। গাজরের জুস বানানোর জন্য কয়েকটি গাজর ভালো করে ধুয়ে নিন। তারপর ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে ছেকে নিয়ে পান করুন। 

আপনি এতে চিনি বা আপনার পছন্দমতো অন্যান্য জিনিসও যুক্ত করতে পারেন। এভাবে গাজরের জুস বানিয়ে খেতে পারেন। এটি আপনার শরীর ও স্বাস্থ্য দুটিই ভালো রাখবে। এরকম বিভিন্ন উপায়ে আপনি গাজর খেতে পারেন। 

গাজর খাওয়ার অপকারিতা 

গাজর খাওয়ার অপকারিতাও রয়েছে। সবকিছুরই ভালো খারাপ দুটি অবস্থাই থাকে। গাজরের যেমন উপকারি দিক রয়েছে তেমনি অনেক অপকারিতাও রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক, গাজরের অপকারিতা সম্পর্কে। 

  • গাজরে প্রচুর পরিমান বিটা- ক্যারোটিন রয়েছে যা শরীরে ভিটামিন-এ এর ঘাটতি পূরণ করে। তবে গাজর প্রচুর পরিমাণে গ্রহণ করলে এটি আপনার ত্বকের রঙ পরিবর্তন করে দিতে পারে। তাই গাজর খুব বেশি পরিমাণে না খেয়ে পর্যাপ্ত পরিমানে গ্রহণ করুন। 
  • বিভিন্ন সবজিতে বিভিন্ন ধরণের এলার্জির সমস্যা দেখা দেয়। তাই আপনার গাজরে এলার্জি থাকলে এটি প্রচুর পরিমানে গ্রহণ করলে আপনার শরীরের ক্ষতি হতে পারে। 
  • আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন তাহলে আপনাকে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ডায়াবেটিস থাকলে গাজর সিদ্ধ বা কাঁচা অবস্থায় বেশি খাওয়া যাবে না। কারণ এতে মিষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। এর ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের সমস্যা হতে পারে। 
  • প্রচুর পরিমাণে গাজর খাওয়ার ফলে ত্বকের রং হলুদ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই পরিমান মতো খেতে হবে। 
  • প্রচুর পরিমোণে গাজর খাওয়ার ফলে শিশুদের দাতেঁর ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং দাঁত হলুদ হয়ে যায়। 
  • খুব বেশি পরিমাণে গাজর গ্রহণ করলে এতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদির পরিমাণও বেড়ে যায় শরীরে। ফলে শরীরে থাকা বিভিন্ন উপাদান সমূহ অতিরিক্ত শোষিত হয়ে যায়। এই কারণে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে গাজর গ্রহণ করলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। আবার বেশি পরিমাণে গ্রহণ করলে পেটের সমস্যা, গ্যাস, আলসার ইত্যাদি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 
  • অতিরিক্ত গাজরের রস সেবন করার ফলে  মহিলাদের বুকের দুধের স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যায়। তাই গর্ভাবস্থায় গাজর পরিমাণ মতো গ্রহণ করা উচিত।
  • অতিরিক্ত গাজর খাওয়ার ফলে গরমে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দিতে পারে।  

শেষ কথাঃ গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা

গাজর খাওয়ার উপকারিতা এবং অপকারিতা দুটিই রয়েছে। আমরা তা বিস্তারিত জেনেছি। প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে গাজর খান এবং সুস্থ্য থাকুন। উপরিউক্ত বিষয়গুলো মাথায় রাখুন এবং স্বাস্থ্য ভালো রাখতে নিয়মিত গাজর খান। 

এরকম বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ লেখা পেতে চোখ রাখুন দ্য অনলাইন আইটিতে। লেখাটি কেমন হলো অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

দ্য অনলাইন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url